মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

পাপকে তুচ্ছজ্ঞান করার ভয়াবহতা

আপনি জেনে রাখুন (আল্লাহ আপনার প্রতি ও আমার প্রতি দয়া করুন) পরাক্রমশালী আল্লাহ তার বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিষ্ঠার সাথে তাওবা করার জন্য। তিনি বলেন:

"হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট নিষ্ঠার সাথে তাওবা কর (প্রত্যাবর্তন কর)।'' (আত্‌তাহরীম: ৮)

কেরামান কাতেবীন (ফেরেশতা) আমাদের কারো গুনাহ্‌ লিখার পূর্বে আল্লাহ আমাদেরকে তাওবার ব্যাপারে অনেক ঢিল দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: নিশ্চয় বামপাশের ফেরেশতা কলম উঠিয়ে রাখে ছয় ঘন্টা পর্যন্ত ভূলকারী মুসলিম বান্দা থেকে। বান্দা যদি অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায় তাহলে তা মাফ করে দেয়া হয়, নতুবা একটি গুনাহ লিখা হয়। (তাবারানী, বায়হাকী, ইমাম আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলে অভিহিত করেছেন) আরেকটি ফুরসত হলো লিখার পরে এবং মৃত্যু উপস্থিত হওয়ার পূর্বে।

বর্তমান যুগের সমস্যা হলো অনেক মানুষই আল্লাহকে ভয় করে না, তারা রাতদিন বিভিন্ন রকমের গুনাহ করে চলেছে। এদের কেউ কেউ আবার গুনাহকে তুচ্ছজ্ঞান করে। এজন্য দেখবেন এদের কেউ কেউ সগীরা গুনাহকে খুবই তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে থাকে। যেমন বলে, একবার খারাপ কিছু দেখলে অথবা কোন বেগানা মহিলার সাথে করমর্দন করলে কি-ই বা ক্ষতি হবে?

অনেকেই আগ্রহ ভরে হারাম জিনিসের দিকে নজর দেয় পত্র-পত্রিকায় বা টিভি সিরিয়াল বা সিনেমার দিকে, এমনকি এদের কেউ কেউ যখন জানতে পারে যে এটি হারাম, তখন খুবই রসিকতা করে প্রশ্ন করে, এতে কত গুনাহ রয়েছে? এটি কি কবীরা গুনাহ না সগীরা গুনাহ? আপনি যখন এটির বাস্তব অবস্থা জানবেন তখন তুলনা করে দেখুন নিম্নোক্ত দুটি বর্ণনার সাথে যা ইমাম বুখারী উল্লেখ করেছেন:

এক: হযরত আনাস রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা এমন সব কাজ কর যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের চেয়েও সূক্ষ্ণ। কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহর যুগে এগুলোকে মনে করতাম ধ্বংসকারী।

দুই: হযরত ইবনে মাসউদ রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন মুমিন গুনাহকে এভাবে দেখে থাকে যে, সে যেন এক পাহাড়ের নিচে বসে আছে যা তার মাথার উপর ভেঙ্গে পড়বে। পক্ষান্তরে পাপী তার গুনাহকে দেখে যেন মাছি তার নাকের ডগায় বসেছে, তাকে এভাবে তাড়িয়ে দেয়।

এরা কি বিষয়টির বিপজ্জনকতা উপলব্ধি করতে পারবে যখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই হাদীস পাঠ করবে ;

"إيَّاكُمْ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ فَإنَّمَا مَثَلُ مُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ كَمَثَلِ قَوْمٍ نَزَلُوا بِبَطْنِ وَادٍ فَجَاءَ ذَا بِعُودٍ وَجَاءَ ذَا بِعُودٍ حَتَّى حَمَلُوا مَا أنْضَجُوا بِهِ خُبْزَهُمْ وَإنَّ مُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ مَتَى يَأخُذُ بِهَا صَاحِبُهَا تُهْلِكُهُ" وَفِي رِوَايَةٍ: "إيَّاكُمْ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ فَإنَّهُنَّ يَجْتَمِعْنَ عَلَى الرَّجُـلِ حَتَّى يُهْلِكَنَّهُ" رواه أحمد (صحيح الجامع: ২৬৮৬ ু ২৬৮৭)

"তোমরা নগণ্য ছোট ছোট গুনাহ থেকে সাবধান হও! নগণ্য ছোট ছোট গুনাহগুলোর উদাহরণ হল ঐ লোকদের মত যারা কোন মাঠে বা প্রান্তরে গিয়ে অবস্থান করল এবং তাদের প্রত্যেকেই কিছু কিছু করে লাকড়ি (জ্বালানি কাঠ) সংগ্রহ করে নিয়ে এলো। শেষ পর্যন্ত এতটা লাকড়ি তারা সংগ্রহ করল যা দিয়ে তাদের খাবার পাকানো হল। নিশ্চয় নগণ্য ছোট ছোট গুনাহতে লিপ্ত থাকা ব্যক্তিদেরকে যখন সেই নগণ্য ছোট ছোট গুনাহগুলো গ্রাস করবে (পাকড়াও করবে) তখন তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলবে।" অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, "তোমরা নগণ্য ছোট ছোট গুনাহ থেকে সাবধান হও; কেননা সেগুলো মানুষের কাঁধে জমা হতে থাকে অতঃপর তাকে ধ্বংস করে দেয়।" (আহমদ, সহীহ আল-জামে' ২৬৮৬-২৬৮৭)

বিদ্যানগণ উল্লেখ করেছেন: যখন সগীরা গুনাহর সাথে লজ্জাশরম কমে যাবে, কোন কিছুতে ভ্রূক্ষেপ করবে না, খোদাভীতি থাকবে না এবং আল্লাহর ব্যাপারে ভক্তি হবে না তখন একে কবীরা গুনাহতে পরিণত করবে। এজন্যই বলা হয়েছে যে, ক্রমাগত পাপ করলে তা আর সগীরা থাকে না এবং ক্ষমা প্রার্থনা করলে কবীরা থাকে না। অর্থাৎ ক্রমাগতভাবে সগীরা গুনাহ করতে থাকলে তা কবীরা গুনাহে পরিণত হয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকলে কবীরা গুনাহ আর থাকে না তা মাফ হয়ে যায়। যার এ অবস্থা তাকে আমরা বলি, গুনাহ ছোট আপনি এদিকে দৃষ্টি দিবেন না, বরং আপনি দৃষ্টি দিবেন এদিকে যে, আপনি কার অবাধ্যতা করছেন।

আমার এ কথাগুলো দ্বারা অবশ্যই উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ সত্যবাদীগণ, যারা অনুভব করছেন তাদের গুনাহ ঘাটতির ব্যাপারটি। তারা নয় যারা তাদের গোমরাহীতে অনড়, তাদের বাতিল অবস্থার প্রতি অবিচল। এটি তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করে মহান আল্লাহর এ বাণীকে:

"আপনি আমার বান্দাদের জানিয়ে দিন যে, নিশ্চয় আমিই একমাত্র ক্ষমাকারী দয়ালু "। (সূরা আল হিজর: ৪৯)

তেমনি যারা ঈমান রাখে এ বাণীর উপর:

"আর নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হলো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।" (সূরা আল হিজর: ৫০)

সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

কখন_কি_বলা_সুন্নাত ?

১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬)

২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা । -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)

৩. কারো হাঁচি আসলে ''আলহামদু লিল্লাহী 'আলা কুল্লী হা-ল'' বলা । -(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)

৪. কোন হাঁচি দাতা 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে শুনলে- 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২২৪)

৫. আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে 'আল্লাহু আকবর' বলা । স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে 'সুবহানাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২১৮)

৬. ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে 'মা-শা আল্লাহ' বলা । -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)

৭. ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে 'ইন শা আল্লাহ' বলা । -(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)

৮. কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে "না'উজু বিল্লাহ" বলা । -(বুখারীঃ ৬৩৬২)

১৩টি মাসয়ালা

(১) সালাতে হাচি আসলে আস্তে করে "আলহামদুলিল্লাহ" বলা যাবে। তবে সালাতরত অবস্থায় অন্য কারো হাচি বা সালাম এর জবাব দিলে সালাত ভেংগে যাবে।
(২) এক্সিডেন্ট বা চোখের নজর থেকে বাচার জন্যে ছোট বাচ্চার কপালে নজর ফোটা, কৃষিখেতে বা ফলগাছে মাশায়াল্লাহ লিখে রাখা, কালো পতাকা বা ভূতের ছবি/মূর্তি ঝুলানো, গাড়িতে ছিড়া জুতা ঝুলানো - এই সবগুলো কাজ কুসংস্কার এবং শিরকি বিশ্বাস।
(৩) মানুষের সবচাইতে মূল্যবান উপার্জন হচ্ছে ছেলে-মেয়ে। সন্তানদেরকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর চাইতে তাদেরকে মুসলিম বা আল্লাহর বান্দা বানানো বেশি জরুরী। সুতরাং খেয়াল রাখবেন, আপনার ছেলেমেয়েরা দুনিয়াবী শিক্ষা নিতে গিয়ে যেনো তাদের দ্বীনকে হারিয়ে না ফেলে।
(৪) তিনিই হচ্ছেন আলেম, যাকে অন্য আলেমরা আলেম হিসেবে স্বীকার করেন। যিনি আলেম নন, তাকে ১০০কোটি সাধারণ মুসলমান যদি দুনিয়ার শ্রেষষ্ঠ আলেম বলে দাবী করে, তবুও তিনি আলেম নাও হতে পারেন।
(৫) সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলমান কিয়ামত পর্যন্ত এক হবেনা, তবে হ্যা ঈসা (আঃ) না আসা পর্যন্ত। আপনি নিজে হক্ক জানার চেষ্টা করুন, হক্কের অনুসরণ করুন এবং অন্যদেরকে সেইদিকে দাওয়াত দিন। কে মানলো কে না মানলো, কে খুশি হলো কে রাগ করলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়েত করেন।
(৬) ক্যান্সার হাসপাতালের জন্যে লটারি কেনা ও সরকারী প্রাইজবন্ড কেনা হারাম।
(৭) স্ত্রীদের মোহরানা আদায় করতেই হবে, বিয়ের রাত্রে হাতে-পায়ে ধরে মাফ করানো যাবেনা। সেইজন্যে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মোহর নির্ধারণ করতে হবে। আর অহেতুক মোহর বাড়ানো উচিত নয়। যৌতুকের টাকা পেটে থাকলে কেয়ামতের দিন হারামখোর হিসেবে উঠতে হবে।
(৮) চিংড়ি মাছ, চা, কফি পান করা জায়েজ। সিগারেট, জর্দা, তামাক পাতা, গুল খাওয়া হারাম।
(৯) আল্লাহর নাযিলকৃত কোন বিধানকে (ফরয/ওয়াজিব বা নফল/সুন্নত কাজকে) অপছন্দ বা ঘৃণা করা কুফুরী, যার কারণে একজন নামাযী ব্যক্তির সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সুতরাং, জিহাদ, দাড়ি, বোরখা, পুরুষের একাধিক বিয়ে করা, ইসলামি রাষ্ট্রের আইন-কানুনকে যে অপছন্দ করবে তার অন্তরে মুনাফেকী রয়েছে।
(১০) জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র - এই ৪টি কুফুরী মতবাদ, যা ক্বুরান ও সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক।
(১১) ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বা অন্য কোন ইমাম বা বর্তমান যুগের কোন একজন আলেম সম্পর্কে যে বাজে মন্তব্য বা কটুক্তি করবে, সে প্রকৃত আহলে হাদীস নয়, সে প্রকৃত হানাফী নয়, সে একজন জাহিল মূর্খ।
(১২) টিভিতে ফুটবল ক্রিকেট খেলা দেখা হারাম। কাফের দেশের খেলোয়াড়দের ভালোবাসা হারাম, তাদের ভালোবাসার কারণে তাদের জার্সি পড়া হারাম।
(১৩) পুত্রবধূর জন্যে শ্বশুড়, এবং শ্বাশুড়ির জন্যে কন্যার স্বামী মাহরাম, তাদের সামনে পর্দা করা ফরয নয়, তাদের সাথে হজ্জ করতে যাওয়া যাবে। তবে, ফিতনা থেকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ দুনিয়াতে অনেক খারাপ উদাহরণ আছে।

হাদীসটি ইমামের যুগে সহীহ ছিল কিন্তু পরবর্তীতে যঈফ হয়েছে

এমনটি দাবী করা যে, হাদীসটি ইমামের যুগে সহীহ ছিল কিন্তু পরবর্তীতে যঈফ হয়েছে
বর্তমান যুগের কিছু লোক নিজেদের বিরুদ্ধে যাওয়া সহীহ হাদীস প্রত্যাখ্যান আর নিজেদের পক্ষে থাকা যঈফ হাদীসকে গ্রহণের উদ্দেশ্যে হাদীসের একটি নতুন মূলনীতি উদ্ভাবন করেছে। নিজেদের জঘন্য তাক্বলীদের উপর দৃঢ় থাকার উদ্দেশ্যে তারা বলে থাকে, এটা সম্ভব যে, তারা যেই হাদীসের মাধ্যমে দলিল পেশ করছে সেটা তাদের ইমামের যুগে সহীহ ছিল কিন্তু পরবর্তীতে যোগ হওয়া নতুন দুর্বল রাবির কারণে তা যঈফ হয়ে গেছে। আর এই কারণে যেই হাদীসটি তাদের ইমামের কাছে সহীহ সেটাই সহীহ যদিও পরে সেটা যঈফ হয়েছে।
উত্তরঃ এই নতুন মূলনীতির প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিজেদের তুচ্ছ কার্যসাধন বা হাদীসকে সহীহ কিংবা যঈফ বিচার করার জন্য ইমাম আবু হানিফার ফাত’ওয়াকে মানদণ্ড বানানো এটা বলে যে, “সম্ভবত ইমাম আবু হানিফার যুগে এই হাদীসটি সহীহ ছিলো”। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটা একটা হাস্যকর দাবী।
পয়েন্ট – ১ঃ
আমাদের প্রশ্ন হলো, একটা যঈফ হাদীস ইমামের যুগে সহীহ ছিলো এবং পরে যঈফ হয়েছে, তার প্রমাণ কী? অন্য কথায়, হাদীসের সনদে দুর্বলতা এসেছে কোনো এক বর্ণনাকারীর কারণে যিনি ইমামের পরে এসেছেন; এটা কীভাবে প্রমাণ করে যে, ইমামের যুগে হাদীসটি সহীহ ছিলো?
কারণ, যে যুগেই দুর্বলতা আসুক না কেনো, এটা পুরো সনদ বা মতনকে অপ্রমাণিত বা বাতিল প্রমাণ করে। এটা মনে রাখতে হবে যে, পরবর্তি সময়ের যে বর্ণনাকারী আমাদেরকে জানাচ্ছে যে সে অমুক অমুকের কাছ থেকে, সে অমুক অমুক ইমামের কাছ থেকে, সে অমুক অমুক সাহাবার কাছে থেকে এবং সে মহানবী (সা.) থেকে হাদীসটি শুনেছে। তার মানে, এই বর্ণনাকারী হলো এমন একজন যে নির্দিষ্ট কোনো ইমামের রেফারেন্স দেয় এবং এটা তাঁর উপর আরোপ করে। তারপর তাঁর থেকে মহানবীর (সা.) এর উপর। তাই যদি বর্ণনাকারী দুর্বল হয় তাহলে অবধারিতভাবে সে যে ইমামের রেফারেন্স দিচ্ছে সেই খবরটিও দুর্বল এবং অপ্রমাণিত। তার ফলে বর্ণনাকারীর পুরো বর্ণনাই প্রত্যাখ্যাত এবং অগ্রহণযোগ্য। তাহলে কীভাবে বলা যেতে পারে যে, ইমাম থেকে মহানবী (সা.) পর্যন্ত হাদীসটি সহীহ।
পয়েন্ট – ২ঃ
তর্কের খাতিরে যদি এই হাস্যকর দাবী মেনেও নিই, তাহলে পৃথিবীর কোনো হাদীসকেই যঈফ বা জাল বলা যাবে না কারণ প্রত্যেক হাদীসের শেষেই সাহাবী বা মহানবী (সা.) এর রেফারেন্স থাকে এবং যা কিছু দুর্বলতা, তা মহানবী (সা.) এবং সাহাবাদের পরের যুগেই এসেছে। তাই তাদের যুক্তি অনুযায়ী একথা বলা যেতে পারে যে, “এই হাদীসটি সাহাবা এবং মহানবী (সা.) এর যুগে সহীহ ছিল আর পরবর্তি যুগে দুর্বলতা এসেছে।
আমাদের বুঝে আসে না কীভাবে লোকেরা এমন একটা হাস্যকর জিনিসে বিশ্বাস করে।
উৎসঃ Hadeeth was Saheeh at the time of the Imaam and the weakness only came later on
সংকলনঃ  ইবনে আবি রাযা   |   অনুবাদঃ  মুজাহিদুল ইসলাম স্বাধীন
সম্পাদনাঃ  সত্যান্বেষী  রিসার্চ  টীম
পরিবেশনা ও পুনঃ নিরীক্ষনঃ সত্যান্বেষী  রিসার্চ  টীম

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নূরের তৈরি?

 নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নূরের তৈরি?

প্রশ্ন: আমি দু’টি কিতাবে পড়েছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি, আল্লাহ তাকে স্বীয় নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তার কারণে অন্যান্য মখলুক সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান পরিপক্ব নয়, অতএব আমাকে স্পষ্ট করে বলুন। শোকরান।

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ,

এ জাতীয় একটি প্রশ্ন সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড ‘লাজনায়ে দায়েমা’র নিকট করা হয়েছিল, আমরা এখানে প্রশ্নসহ তা উল্লেখ করছি: “প্রশ্ন: অনেক মানুষের বিশ্বাস, সকল বস্তু মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূর থেকে সৃষ্টি, আর তার নূর আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি। তারা এ মর্মে হাদিস বর্ণনা করে: “আমি আল্লাহর নূর, আর প্রত্যেক বস্তু আমার নূর থেকে সৃষ্ট”।তারা আরো বর্ণনা করে: “আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূর সৃষ্টি করেছেন”। এ জাতীয় হাদিসের কোনো ভিত্তি আছে কি? তাদের আরেকটি হাদিস নিম্নরূপ:

" أنا عرب بلا عين أي رب أنا أحمد بلا ميم أي أحد "

“আমি আরব আইন ব্যতীত অর্থাৎ আমি رب (রব), আমি আহমদ মীম ব্যতীত অর্থাৎ আমি أحد (আহাদ), একক সত্ত্বা বা আল্লাহ”। এ জাতীয় কথার কোনো ভিত্তি আছে কি?

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর নূর যদি এ অর্থে বলা হয় যে, তিনি আল্লাহর জাতি ও সত্ত্বাগত নূর, তাহলে তা কুরআন বিরোধী, কারণ কুরআনে তাকে মানুষ বলা হয়েছে। আর যদি তাকে এ অর্থে নূর বলা হয় যে, তার নিকট আল্লাহর কাছ থেকে নূর বা ওহী এসেছে, যা মানুষের হিদায়েতের উসিলা, যা দ্বারা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হিদায়েত করেন, তাহলে এ অর্থ ঠিক আছে। ‘লাজনায়ে দায়েমাহ’ থেকে এ বিষয়ে একটি ফতোয়া প্রকাশিত হয়েছে, এখানে হুবহু তা উল্লেখ করছি: 
[নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নূর অর্থ তার মধ্যে বিদ্যমান রিসালাত ও হিদায়েতের নূর, যে নূর দ্বারা আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের থেকে যাকে ইচ্ছা হিদায়েত করেন। এ নূর আল্লাহ প্রদত্ত। আল্লাহ তা'আলা বলেন:

﴿وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ ٱللَّهُ إِلَّا وَحۡيًا أَوۡ مِن وَرَآيِٕ حِجَابٍ أَوۡ يُرۡسِلَ رَسُولٗا فَيُوحِيَ بِإِذۡنِهِۦ مَا يَشَآءُۚ إِنَّهُۥ عَلِيٌّ حَكِيمٞ ٥١ وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ رُوحٗا مِّنۡ أَمۡرِنَاۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلۡكِتَٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلۡنَٰهُ نُورٗا نَّهۡدِي بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَاۚ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٥٢ صِرَٰطِ ٱللَّهِ ٱلَّذِي لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ أَلَآ إِلَى ٱللَّهِ تَصِيرُ ٱلۡأُمُورُ ٥٣ ﴾ [الشورى: ٥١،  ٥٣] 

“কোনো মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম, পর্দার আড়াল অথবা কোনো দূত পাঠানো ছাড়া। তারপর আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি যা চান তাই ওহী প্রেরণ করেন। তিনি তো মহীয়ান, প্রজ্ঞাময়। অনুরূপভাবে (উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিতে) আমি তোমার কাছে আমার নির্দেশ থেকে ‘রূহ’কে ওহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী এবং ঈমান কী? কিন্তু আমি একে আলো বানিয়েছি, যার মাধ্যমে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা হিদায়েত দান করি। আর নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিন নির্দেশনা দাও। সেই আল্লাহর পথ, যিনি আসমানসমূহ ও জমিনে যা কিছু আছে তার মালিক। সাবধান! সব বিষয়ই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে”।[1]

এ নূর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাধনায় লব্ধ নূর নয়, যেমন অনেক জিন্দিক ও বদ্বীন ধারণা করে। তিনি রক্ত, মাংস ও হাড্ডির সমন্বিত মানুষ ছিলেন। চিরাচরিত নিয়ম পিতা-মাতার সমন্বয়ে তার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্মের পূর্বে কখনো তার সৃষ্টি হয়নি।

আর কতক মানুষ যা বলে: “আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূর সৃষ্টি করেছেন”। অথবা বলে: “আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় চেহারা থেকে একমুষ্টি নূর গ্রহণ করেন, সে মুষ্টিই হচ্ছে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম। অতঃপর আল্লাহ তার দিকে দৃষ্টি দেন, ফলে তাতে বহু নূরের জ্যোতি ছিটকে পড়ে, যার প্রত্যেক টুকরো থেকে তিনি একজন করে নবী সৃষ্টি করেছেন। অথবা আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূর থেকে সকল মখলুক সৃষ্টি করেছেন”। এ হাদিস ও এ জাতীয় অন্যান্য হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়।] পূর্বের ফতোয়া থেকে স্পষ্ট এ জাতীয় বিশ্বাস বাতিল।

এ ছাড়া আরো বর্ণনা করা হয় যে, أنا عرب بلا عين‘আমি আরব আইন ব্যতীত’, অথবা বলা হয় أنا أحمد بلا ميم ‘আমি আহমদ মীম ব্যতীত’ তার কোনো ভিত্তি নেই। আল্লাহর রুবুবিয়াতের কোনো সিফাত, অথবা আল্লাহর সাথে খাস কোনো সিফাত দ্বারা কাউকে ভূষিত করা বৈধ নয়, এ জাতীয় সিফাত একমাত্র আল্লাহর সাথেই খাস, অতএব কাউকে ‘রব’ বলা কিংবা কাউকে ‘একক সত্ত্বা’ বলা বৈধ নয়। কোনো রাসূল বা কোনো মখলুককে রব বা একক সত্ত্বা বলে আখ্যায়িত করা বৈধ নয়। সাল্লাল্লাহু ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মদ ওয়ালিহি, ওয়াসাহবিহি ওয়াসাল্লাম”।[2] ফতোয়াটি এখানে শেষ।

একটি প্রশ্ন: এ কথা কি বলা যাবে যে, আল্লাহ তা‘আলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করেছেন বলেই আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন? বলা হয়: “যদি নবী না হতেন আসমানসমূহ সৃষ্টি করা হত না”। এ কথার অর্থ কি, হাদিসটি কি সহি? বিষয়টি আমাদের সামনে স্পষ্ট করুন।

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ,

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য আসমান ও জমিন সৃষ্টি করা হয়নি, বরং আসমান ও জমিন সৃষ্টির কারণ আল্লাহ তা‘আলা নিম্নের আয়াতে বলে দিয়েছেন:

﴿ٱللَّهُ ٱلَّذِي خَلَقَ سَبۡعَ سَمَٰوَٰتٖ وَمِنَ ٱلۡأَرۡضِ مِثۡلَهُنَّۖ يَتَنَزَّلُ ٱلۡأَمۡرُ بَيۡنَهُنَّ لِتَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ وَأَنَّ ٱللَّهَ قَدۡ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عِلۡمَۢا ١٢﴾ [الطلاق : ١٢] 

“তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ জমিন সৃষ্টি করেছেন, এগুলির মাঝে তার নির্দেশ অবতীর্ণ হয় যেন তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞানতো সব কিছুকে বেষ্টন করে আছে”।[3]

প্রশ্নে উল্লেখিত হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মিথ্যা অপবাদ, তার কোনো ভিত্তি নেই। হে আল্লাহ আমাদের নবী, তার পরিবারবর্গ ও তার সকল সাথীর উপর সালাত ও সালাম নাযিল করুন।দেখুন: ফতোয়াল লাজনায়ে দায়েমাহ।

সমাপ্ত


[1] সূরা আশ-শুরা: (৫১-৫৩)

[2] দেখুন: ফতোয়াল লাজনায়ে দায়েমাহ: (১/৩১০)

[3] সূরা আত-তালাক: (১২)

_________________________________________________________________________________

ফতোয়াল লাজনায়ে দায়েমাহ

মুফতী: ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি

অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ

সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব

রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

হযরত মুহাম্মদ (স.) নূরের তৈরী নাকি মাটির তৈরী মানব জাতির অংশ মানুষ

***হযরত মুহাম্মদ (স.) নূরের তৈরী নাকি মাটির তৈরী মানব জাতির অংশ মানুষ ***

*** হযরত মুহাম্মদ (স) এর জন্মদিনে বর্তমান প্রচলিত পদ্ধতিতে মিলাদ পালন করা যাবে কি***

***হযরত মুহাম্মদ (স) হাজির নাজির নাকি এটা আল্লাহর বিষেশ গুণ***

০- বারোটি প্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থের সরাসরি লিংক দ্বারা বিশ্বনবী (সা)-এর সৃষ্টিমূল উৎস মদিনার মাটি হওয়া প্রমাণিত - http://www.markajomar.com/?p=1476

১- প্রশ্ন, রাসূল সাঃ কে আল্লাহর জাতি নূরের তৈরি কিংবা সৃষ্ট নূরের তৈরি বলা যাবে কি? - http://www.markajomar.com/?p=60

২- আহলে বিদয়াত রেজভিদের কুড়ে পাওয়া কথিত “আলজুযউল মাফকূদ” নামক একটি পুস্তিকায় এ কি কুরআন সুন্নাহ বিরুধী আকিদা প্রচার করল দেখুন! - http://www.markajomar.com/?p=74

৩- আল-জুযউল মাফকূদ পুস্তকের প্রকৃত সংকলন তথ্য: - http://www.markajomar.com/?p=76

৪- বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সৃষ্টি মূল-উপাদান মদিনারই মাটি ছিল - http://www.markajomar.com/?p=97

৫- বিশ্বনবী সাঃ-এর ছায়া মুবারক থাকা বিশুদ্ধ সূত্রে হাদিস দ্বারা প্রমাণিত - http://www.markajomar.com/?p=99

৬- প্রশ্ন: বিশ্বনবী সাঃ এর ছায়া মুবারক কখনো কখনো মাটিতে না পড়া কিংবা কাহারো দৃষ্টিগোচর না হওয়ার কারণ কী ছিল?? - http://www.markajomar.com/?p=106

৭- পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনূন এর ৩৪ নং আয়াতের তাহকীক- http://www.markajomar.com/?p=178

৮- হাদিসে জাবের (রা) জাল ও মওদ্বূ হওয়ার তাত্ত্বিক প্রমাণ - http://www.markajomar.com/?p=166

৯- বিশ্বনবী (সাঃ)-এর ছায়া থাকার প্রমাণ ও এক বিদয়াতির নোট’র জবাব! - http://www.markajomar.com/?p=162

১০- ডঃ ঈসা মানে রেজভি’র তাহকীককৃত (?) ‘আলজুযউল মাফকূদ’ পুস্তকে উদ্ধৃত নূরের বর্ণনাটির জালিয়াতিমূলক সনদ আবিষ্করণ : - http://www.markajomar.com/?p=158

১১- আল্লামা থানভী রহঃ এর প্রতি নূরের হাদিসটির নেসবত সম্পর্কে - http://www.markajomar.com/?p=231

১২- রাসূলেপাকের সাঃ ছায়া মোবারক [মাঝে মধ্যে] জমিনে পতিত না হওয়ার অন্যতম কারণ কী ছিল? - http://www.markajomar.com/?p=212

১৩- হারুত মারুত দুজন ফেরেশতার জন্য মানবীয় গুণগুলো স্থায়ীভাবে নয়, অস্থায়ী ভাবে ছিল - http://www.markajomar.com/?p=207

১৪- রাসূল সাঃ -কে আল্লাহর জাতিগত নূরের তৈরি বলা যাবে কিনা? - http://www.markajomar.com/?p=204

১৫- বিদয়াতী রেজভিদের একটি পুস্তকে আল্লামা জুরকানী রহঃ এর সূত্রে লেখা আছে, “আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীকে স্বীয় জাতিগত নূর হতে সৃষ্টি করেছেন” - http://www.markajomar.com/?p=199

১৬- নূর কি নূরের তৈরি? - http://www.markajomar.com/?p=194

১৭- প্রশ্ন, যখন একমাত্র আল্লাহর জাত ছাড়া কিছুই ছিল না তখন তাঁর জাতি নূর দ্বারা নূরে মুহাম্মদি সৃষ্টি না করে আর কিসের দ্বারা সৃষ্টি করার উপায় ছিল? - http://www.markajomar.com/?p=189

১৮- আমি আল্লাহ তায়ালার নূরের [সৃষ্টি] আর আমার নূর থেকে সব কিছু [সৃষ্টি]- এটি কি হাদিস? - http://www.markajomar.com/?p=326

১৯- নবীজি (সা) হযরত আদম (আ)-এর পূর্বেই সৃষ্টি হয়েছিলেন?- http://www.markajomar.com/?p=323

২০- নবীজির (সা) নূর হযরত আদম (আ)-এর পিঠে রেখে দেন-এটি কি সহিহ হাদিস?- http://www.markajomar.com/?p=320

২১- নবীগ্ণ (আলাইহিমুসসালাম) আমাদের মত মানুষ নন কি?- http://www.markajomar.com/?p=315

২২- মুসান্নাফে আব্দি রাযযাক কিতাবে হাদিসে জাবের উল্লেখ আছে কি? - http://www.markajomar.com/?p=289

২৩- যে কারণে রেজভী তথা ভান্ডারি সুন্নীদের নূরী আকিদার অপমৃত্যু হয়েছে! - http://www.markajomar.com/?p=262

২৪- “ক্বদ জাআকুম মিনাল্লাহি নূর…” এবং হাদিসে জাবির (রাঃ) তথা “আওয়ালুমা খালাকাল্লাহু নূরী…” প্রসংগ:- http://www.markajomar.com/?p=253

২৫- সূরা মায়েদার পনের নাম্বার আয়াতে নূর শব্দের অপব্যাখ্যার জবাব - http://www.markajomar.com/?p=353

২৬- মহানবী (সা)-এর পবিত্র মে’রাজ নিয়ে রেজভীদের বাজে উক্তি ও তার জবাব - http://www.markajomar.com/?p=347

২৭- সম্মানার্থে রূহগুলোকে “নূর” বলে সম্বোধন করার দলিল আছে কি? - http://www.markajomar.com/?p=344

২৮- নূরের আলোয় হযরত আয়েশা (রা) সুঁই পাওয়া হাদীসের তাহকীক ও সমাধান- http://www.markajomar.com/?p=338

২৯- জনৈক রেজভি মওলানার মনগড়া দুটো বক্তব্যের দলিল ভিত্তিক খণ্ডন – http://www.markajomar.com/?p=392

৩০- হাদিসে উমর বিন খাত্তাব (রাদি) দ্বারা আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)-এর সৃষ্টির পরই রাসূল (সাঃ)-এর সৃষ্টি হওয়ার প্রমাণ - http://www.markajomar.com/?p=493

৩১- আল্লামা থানভী (রহঃ)-এর আকিদাও ‘নবী নূরের সৃষ্টি’-এ কথা কি সঠিক? - http://www.markajomar.com/?p=481

৩২- আমি এবং একজন ভান্ডারী সুন্নীর মাঝে কথপোকথন- http://www.markajomar.com/?p=479

৩৩- জাল হাদিসের যাঁতাকলে হযরত আলী (রা)ও নূরের সৃষ্ট!!! - http://www.markajomar.com/?p=476

৩৪- হযরত আয়েশা (রাদি অন্ধকারে রাসূলেপাক (সা)-এর নূরে সূঁই পাওয়ার রেওয়ায়েতটির তাহকীক - http://www.markajomar.com/?p=471

৩৫- বিশ্বনবী (সা-এর স্বীকারুক্তি অনুযায়ী তিনিও আদম-সন্তান এবং মাটির সৃষ্ট! - http://www.markajomar.com/?p=593

৩৬- হাদিসের ভাষ্য : তোমাদের মধ্য থেকে কে আছ আমার মতো? তাহকীক - http://www.markajomar.com/?p=588

৩৭- হারুত-মারুত দু’জন ফেরেশতার দুনিয়া আগমনের হাকীকত! - http://www.markajomar.com/?p=603

৩৮- নবীজিকে মানুষ বলা একান্ত তাঁর জন্যই সমীচিন? বিতর্ক সমাধান! - http://www.markajomar.com/?p=674

৩৯- নূরে মুহাম্মদি আর হাকিকতে মুহাম্মদি এ দুটোর মর্মার্থ অজো অস্পষ্ট কেন? - http://www.markajomar.com/?p=671

৪০- নবীজী (সা) যদি আমাদের মত (মানুষ) হন, তো আমরা কার মত? - http://www.markajomar.com/?p=662 -

৪১- তাকদীর সৃষ্টির একচল্লিশ হাজার বছর পর নূরে মুহাম্মদী (সাঃ) সৃষ্ট হওয়ার প্রমাণ আছে কি? - http://www.markajomar.com/?p=710

৪২- মাটির সৃষ্টি মাখলূকের চেয়ে নুরের সৃষ্ট মাখলূক কি বেশী সম্মানী? - http://www.markajomar.com/?p=700

৪৩- জাবালে নূর কি নুরের সৃষ্ট? একটি তাত্ত্বিক সমাধান - http://www.markajomar.com/?p=690

৪৪ - সূরা মায়েদায় (আয়াত নং ১৫) উদ্ধৃত নূর শব্দের তাহকীক - http://www.markajomar.com/?p=687
৪৫- নবীজির সাঃ দুই কন্যা নূরের তৈরি? বাতিল আকিদার পোস্টমর্টেম - http://www.markajomar.com/?p=818 - নবীজির সাঃ দুই কন্যা নূরের তৈরি? বাতিল আকিদার পোস্টমর্টেম - http://www.markajomar.com/?p=818

৪৬- নূরে মুহাম্মদী বিশ্লেষণে মোল্লা আলী ক্বারী (রহ)-এর তাহকীক - http://www.markajomar.com/?p=891

৪৭- কথিত নূরে মুহাম্মাদী নামের জাল হাদিসের ভয়ংকর ইতিহাস পড়ুন - http://www.markajomar.com/?p=880

৪৮- আল্লাহ তায়ালার জাত নূর, নাকি নূরের অর্থাৎ নূর দ্বারা গঠিত কি? একটি প্রশ্নোত্তর - http://www.markajomar.com/?p=842

৪৯- বিশ্বনবী (সা) এবং আবু বকর আর উমর (তিনজন) একই কবরের মাটি হতে সৃষ্ট - http://www.markajomar.com/?p=955

৫০- সর্বপ্রথম সৃষ্টি নিয়ে বিতর্কের সমাধান কী? - http://www.markajomar.com/?p=946